মোঃ বিলাল উদ্দিন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রবাসী জীবনে কারো মৃত্যুর সংবাদ শুনলে সত্যিকার্থে আমাদের শরীর শিউরে উঠে, কারণ কুয়েত প্রবাসীদের ঘন ঘন মৃত্যু, প্রতি সপ্তাহে শুনা যায় ২/৩ জন প্রবাসীদের আকস্মিক মৃত্যুর খবর।
আমরা একটি পরিবারের মুখে হাসি ফুঁটাতে দিনরাত কাজ করছি, আর জীবনের শেষ বেলায় পাশে নেই আত্মীয় স্বজন ও প্রিয় মানুষটিও, জন্মিলে মৃত্যু আছে সেটা ধুব্র সত্য কিন্তু অপ্রত্যাশিত অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।
কুয়েত প্রবাসী একজন বাংলাদেশী সাম্প্রতিককালে কুয়েতে প্রবাসীদের ঘন ঘন মৃত্যর কথা তুলে ধরে এসব কথা বলছিলেন।
মধ্যপ্রচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে ইদানীং প্রবাসী বাংলাদেশীদের মৃত্যুর হার যেভাবে বাড়ছে তা অন্যান্য বছরের ন্যায় দ্বিগুণ আর বেশির ভাগ মৃত্যু হৃদরোগ ও মানসিক চাপে ঘটছে বলে প্রবাসীদের ধারণা, কারণ অনেকে ৭/৮ লক্ষ টাকা খরচ করে কুয়েতে আসা ও চাকুরী নেই ভিসা জটিলতা আকামা বা পরিচর পত্রবিহীন পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্ক দালালদের দৌরাত্ম্য ঋণের বুজা ভিটেমাটি বিক্রি করে আসা সহ নানাবিধ সমস্যা।
এ দিকে গত ৩১ মার্চ শনিবার ২০১৮ রাতে কুয়েতের ওয়াফরা নামক স্থানে ঘুমন্ত অবস্থায় এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুর খরব পাওয়া গেছে। নিহতের নাম কামাল আহমদ(৪০) জানা গেছে প্রতিদিনের মত কামাল দৈনন্দিন কাজ শেষে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন কিন্তু ভোরে কামাল আর ডিউটিতে না আসায় অন্যান্য সহপাঠীরা তার রুমে গেলে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান, পরে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে বাসার তালা ভেঙ্গে মৃত্যু অবস্থায় কামালের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বর্তমানে নিহতের লাশ স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকের ধারণা কামাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন।
নিহত কামাল সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ঘেচুয়া সুলতান পুর গ্রামের কেরাম আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। নিহতের লাশ সকল আইনি জটিলতা শেষে দ্রুত দেশে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।